আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়, এই কথা যেন আর আমাদের শুনতে না হয়। যদি যাচাই বাছাই কমিটির কারো টাকার দরকার হয় তবে বলবেন, আমি আমার সম্মানী ভাতার এক বছরের পুরো অংশ তাকে দিয়ে দেব। তবুও যেন টাকা দিয়ে কোন অ-মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম লেখাতে না পারে। দেশের যেখানে যেভাবেই যাচাই বাছাই হোক না কেন তা আমাদের জানার দরকার নেই, আমরা যেন মন্ত্রণালয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের একটা সঠিক তালিকা পাঠাতে পারি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি, উপজেলা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক, বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত এসব কথা বলেন। সভায় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ি যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) প্রতিনিধি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবু তাহের মিয়া, সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাশেম, স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র মনোনীত প্রতিনিধি সদস্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আইয়ুব আলী মিয়া এবং জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সদস্য অধ্যাপক (অবঃ) লিয়াকত আলী হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বিতরণ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালাসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন সভায় উপস্থিত ছিলেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু করেন গঠিত কমিটির সদস্যরা। বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাশেম জানান, মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত ৪১জন এবং বিভিন্ন বাহিনীর ৫জনসহ মোট ৪৬জন মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র যাচাই বাছাই এবং তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহন করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার সহযোদ্ধাদের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে কমিটির সদস্যরা মন্ত্রণালয়ে তাদের সুপারিশসহ সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রেরণ করবেন।
Leave a Reply